বাংলাদেশে ধর্ষণের হার দিন দিন উদ্ধগতীর দিকে ছুটে চলছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে এক গৃহবধূকে ঘুমের ঔষধ খাইয়েএকাধিক বার ধর্ষণের ঘটনা খোলাসা হয়েছে।
অভিযুক্ত ধর্ষক হলেন: রহনপুর পৌর এলাকার শেখপাড়া ১নং ওয়ার্ডের ইনুর ছেলে রবিউল ইসলাম রবু (৪২)। তিনি রহনপুর পৌর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
গৃহবধূকে একাধিক বার ধর্ষণের ঘটনায় রবুর সহযোগী ছিলেন গৃহবধূর শাশুড়ি রেহেনা আক্তার (৪০) বলে জানা যায়। গৃহবধূর স্বামীর নাম হৃদয়। হৃদয়ের বাড়ী নতুন গ্রাম ২নং ওয়ার্ডে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রবুকে পৌরসভার মতির মোড় এলাকা থেকে বিকেলে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
রোববার (১৫ আগস্ট) গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কুমার।
ওই গৃহবধূ গণমাধ্যমকে বলেন; ‘কয়েক মাস আগে আমার বিয়ে হয়। জীবিকার তাগিদে আমার স্বামী চট্টগ্রাম চলে যায় কাজে। আমার শাশুড়ি এবং রবুর মধ্যে আগে থেকেই ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে রবু আমার শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করত। সে অনেকবার আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু আমি রাজি হইনি।
গত রমজান মাসে শাশুড়ি আমার খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। আমি ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। সে সময়ে আমার শাশুড়ির যোগসাজশেই আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রবু। আমার শাশুড়িকে সব কথা খুলে বললেও সে কথার উত্তর দেয়নি। আমার স্বামীকে তা জানালেও রবুর হুমকিতে সে চুপ হয়ে যায়। এসব কথা কাউকে বলতে মানা করে।
গৃহবধূর বাবা বলেন; গত ১৬ মে হঠাৎ করেই আমার মেয়ে বাড়িতে চলে আসে। সে সময়ে তার মন খুব খারাপ ছিল। হঠাৎ বাড়ি আসার কারণ জানতে চাইলে আমার মেয়ে বলে, স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি করে চলে এসেছি। কিন্তু রাগারাগির কারণ আমাকে জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, দুই মাস পরও শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমার মেয়ে বলে, তুমি যদি আমাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাও, তাহলে আমার লাশ দেখবে। শ্বশুরবাড়ির উপর এত ক্ষোভ কেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে,সে প্রসঙ্গ এড়িযে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তখন মনে হচ্ছিলো—কোনো সমস্যা আছে। তার কয়েকদিন পর খুব অনুরোধ করলে সে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। প্রথমে এ ঘটনা কাউকে জানাতে চাইনি। পরে আমাদের বাড়ির সবাই মিলে আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই।’
ওই গৃহবধুর স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গোমস্তাপুর থানার ওসি জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ওই গৃহবধূ গোমস্তাপুর থানায় এসে তার শাশুড়ি রেহেনা ও রবিউল ইসলাম রবুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। রবিউল ইসলাম রবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার -১০।
No comments:
Post a Comment