রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৭ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদায়ন করতে না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। এজন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা। অন্যথায় আমরণ অনশনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে ‘অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
নিয়োগপ্রাপ্ত মুঃআতিকুর রহমান সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে চাকরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মো রাসেল বলেন, ‘আমরা এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্বাভাবিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না। আমাদের চাকরিতে পদায়নের সুযোগ না দিলে সবকিছু অচল করে দেয়া হবে।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমরা জামায়াত-শিবিরের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করেছি। সাবেক উপাচার্য আমাদেরকে চাকরি দিয়ে গেছেন। অথচ বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সেই চাকরিতে আমাদের পদায়নে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। কোন ক্ষমতাবলে তিনি আগুন নিয়ে খেলা করছেন?’
এসময় অন্যদের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলওয়ার হোসেন ডিলস, ফিরোজ মাহমুদ, রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা মতিউর মর্তুজা, মহানগর যুবলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এস কে এম আরকান বাপ্পী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে (৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে যান। মন্ত্রণালয় সেদিনই এই নিয়োগ ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ১৩৭ জনের চাকরিতে যোগদান প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরে তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটি বিদায়ী উপাচার্যসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিবেদনে আবদুস সোবহানের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment